মোঃ মঈন উদ্দীন চিশতী, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর সদরে নতুন করে ৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই ৬ জন আক্রান্তের মধ্যে সদরের ১জন যিনি মেডিকেল কলেজের নাক, কান, গলা বিভাগের অধ্যাপক।দিনাজপুর বিরল উপজেলায় ১জন, বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১জন, বীরগঞ্জ উপজেলায় ১জন, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১জন এবং খানসামা উপজেলায় ১ জন। আক্রান্ত দের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী।
শুক্রবার (১৫মে) সন্ধায় দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের আর টি পিসি আর ল্যাব হতে দিনাজপুরে আজ ১১১ টি ও ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন হতে ৯৪ টি মোট ২০৫ টি নমুনা ফলাফলের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬ টি নমুনা ফলাফলের রিপোর্ট পজিটিভ ও ১৯৯ টি নমুনা ফলাফলের রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে এবং হাকিমপুরে ১ জন সুস্থ হয়েছে।
দিনাজপুর জেলার ১৩টি উজেলার মধ্যে ১২ টি উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৪ জন, সুস্থ হয়েছে ১২ জন, মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ, ১৩ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সদরে শিশুসহ ১৭ জন(সুস্থ ৪ জন ),বিরলে ৬, নবাবগঞ্জে ৫ জন (সুস্থ ৩ জন), ফুলবাড়ীতে ১ জন (সুস্থ), পার্বতীপুরে ৫ জন (সুস্থ ১ জন), বোচাগঞ্জে ৫ জন (সুস্থ ১ জন), ঘোড়াঘাটে ৪ জন, কাহারোলে ৭ জন (সুস্থ ১ জন) , হাকিমপুরে ২ জন(সুস্থ ১ জন) , চিরিরবন্দর ১ জন, বিরামপুর ৪ জন, বীরগঞ্জ ৬ জন, খানসামায় ১ জন।
শুক্রবার (১৫মে) দিনাজপুর জেলার অদ্যাবধি ল্যাবরেটরীতে প্রেরিত নমুনা সংখ্যা ১৭৬১ টি, এ পর্যন্ত ১৭৪১ টি নমুনা ফলাফল পাওয়া গেছে, এর মধ্যে জেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৪ জন, এর মধ্যে মৃত ১ জন এবং সুস্থ হয়ে ছাড় পত্র পেয়েছে ১২ জন (সদর ৪, ফুলবাড়ী ১, নবাবগঞ্জ ৩, পার্বতীপুরে ১,কাহারোল ১ জন, বোচাগঞ্জ ১ জন,হাকিমপুর ১ জন)। তাদের মধ্যে ৪৪ জন রয়েছে হোম আইসোলেশনে ও ০৩ জন রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে, হাসপাতালে রয়েছে ৪ জন,মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন।
দিনাজপুর জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে প্রেরিত হয়েছে ১৫৭ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সর্বমোট ৭০৬৬ জনের মধ্যে ৫৩৮৪ জনকে সুস্থ হওয়ায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬১৮ জন।
উল্লেখ্য যে, দিনাজপুর সদর উপজেলার উপশহরে মফিজুল ইসলাম( ৪৫) নামীয় একব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরন করেছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল এলেই বুঝা যাবে যে ব্যাক্তিটি কোন কারনে মারা গিয়েছেন বলে জানান সিভিল সার্জন দিনাজপুর।